পরিচ্ছেদঃ
‘রিয়া’ (লোক-প্রদর্শনমূলক কার্যকলাপ) হারাম
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে। (সূরা বাইয়িনাহ ৫ আয়াত)তিনি আরো বলেনঅর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! দানের কথা প্রচার করে এবং কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে নষ্ট করে দিয়ো না; ঐ লোকের মত যে নিজের ধন লোক দেখানোর জন্য ব্যয় করে। (সূরা বাক্বারাহ ২৬৪ আয়াত)তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,(আরবী)অর্থাৎ, নিশ্চয় মুনাফিক (কপট) ব্যক্তিরা আল্লাহকে প্রতারিত করতে চায়। বস্তুতঃ তিনিও তাদেরকে প্রতারিত করে থাকেন এবং যখন তারা নামাযে দাঁড়ায় তখন শৈথিল্যের সাথে নিছক লোক-দেখানোর জন্য দাঁড়ায় এবং আল্লাহকে তারা অল্পই স্মরণ করে থাকে। (সূরা নিসা ১৪২)
হাদিস সম্ভার : ১৮৫
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ১৮৫
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আম্র বিন উক্বাইশের জাহেলী যুগের সুদের বকেয়া ছিল। সে তা পরিশোধ না নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে অসম্মত হল। ইতিমধ্যে উহুদের যুদ্ধ এসে উপস্থিত হল। (মদীনায় এসে) সে বলল, ‘আমার চাচার গোষ্ঠির লোকেরা কোথায়?’ লোকেরা বলল, ‘তারা উহুদে আছে।’ বলল, “অমুক কোথায়?” বলা হল, “উহুদে আছে।’ বলল, “অমুক কোথায়?” বলা হল ‘উহুদে আছে।’ সুতরাং সে তার বর্ম পরে ও অস্ত্র ধারণ ক’রে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে তাদের দিকে অগ্রসর হল। সেখানে যখন তারা তাকে দেখল, তখন বলল, ‘সাবধান হে আমর! তুমি আর অগ্রসর হবে না।‘ সে বলল, ‘আমি ঈমান এনেছি।’ সুতরাং সে যুদ্ধে শামিল হল এবং জখম হল। অতঃপর সেই বিক্ষত অবস্থায় তাকে তার পরিজনের কাছে বহন ক’রে আনা হল। সা’দ বিন মুআয এসে তার বোনকে বললেন, ‘ওকে জিজ্ঞাসা কর, তোমার গোত্রের পক্ষ-পাতিত্ব করতে গিয়ে এবং তাদের ক্রোধে ক্রোধান্বিত হয়ে কি (যুদ্ধ করেছে), নাকি আল্লাহর জন্য ক্রোধান্বিত হয়ে (যুদ্ধ করেছে)?’ উত্তরে সে বলল, ‘বরং আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের জন্য ক্রোধান্বিত হয়ে (যুদ্ধ করেছি)। অতঃপর সে মারা গেলে জান্নাত প্রবেশ করল। অথচ সে এক ওয়াক্তের নামাযও পড়েনি! (আবূ দাঊদ ২৫৩৯নং)