পরিচ্ছেদঃ
ইল্মের ফযীলত
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمَاً ﴾ ﴿অর্থাৎ, বল, হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর। (ত্বা-হা ১১৪) তিনি সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা অন্যত্র বলেন,﴿قُلْ هَلْ يَسْتَوي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ ﴾অর্থাৎ, বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (যুমার ৯)আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরো বলেন,﴿يَرْفَعِ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا العِلْمَ دَرَجَاتٍ﴾অর্থাৎ, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। (মুজাদালা ১১)। তিনি অন্য জায়গায় বলেন,﴿إنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ العُلَمَاءُ﴾অর্থাৎ, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাঁকে ভয় করে থাকে। (ফাত্বের ২৮)আর এ কথা বিদিত যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ইল্ম অনুসন্ধান করা প্রত্যেক (নর-নারী) মুসলিমের জন্য আবশ্যক।” (সঃ জামে’২৯১৩, সঃ তারগীব ৭২)
হাদিস সম্ভার : ১৫৭০
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ১৫৭০
وعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: ্রكَيْفَ بِكُمْ إِذَا لَبِسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ وَيَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ وَيُتَّخَذُ سُنَّةٌ فَإِنْ غُيِّرَتْ يَوْمًا قِيلَ: هَذَا مُنْكَرٌগ্ধ قِيلَ: وَمَتَى ذَلِكَ قَالَ: ্রإِذَا قَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ وَكَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ وَقَلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ وَكَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ وَتُفِقِّهَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَالْتُمِسَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِগ্ধ
ইবনে মসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘তোমাদের তখন কী অবস্থা হবে, যখন তোমাদেরকে ফিতনা-ফাসাদ গ্রাস করে ফেলবে? যাতে শিশু প্রতিপালিত (বড়) হবে এবং বড় বৃদ্ধ হবে, (তা সকলের অভ্যাসে পরিণত হবে) আর তাকে সুন্নাহ (দ্বীনের তরীকা) মনে করা হবে। পরন্তুতার যদি কোনদিন পরিবর্তন সাধন করা হয় তাহলে লোকেরা বলবে, ‘এ কাজ গর্হিত!’তাঁকে প্রশ্ন করা হল, ‘(হে ইবনে মসঊদ!) এমনটি কখন ঘটবে?’ তিনি বললেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে আমানতদার লোক কম হবে ও আমীর (বা নেতার সংখ্যা) বেশী হবে, ফকীহ (বা প্রকৃত আলেমের সংখ্যা) কম হবে ও ক্বারী (কুরআন পাঠকারীর) সংখা বেশী হবে, দ্বীন ছাড়া ভিন্ন উদ্দেশ্যে জ্ঞান অন্বেষণ করা হবে এবং আখেরাতের আমল দ্বারা পার্থিব সামগ্রী অনুসন্ধান করা হবে।’ (আব্দুর রাযযাক ২০৭৪২, ইবনে আবী শাইবা ৩৭১৫৬, সহীহ তারগীব ১১১)