পরিচ্ছেদঃ
বিদআত এবং (দ্বীনে) নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কি আছে? (সূরা ইউনুস ৩২ আয়াত) তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আমি কিতাবে কোন কিছু লিপিবদ্ধ করতে ক্রটি করিনি। (সূরা আনআম ৩৮ আয়াত)তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা ৫৯ আয়াত) অর্থাৎ, কিতাব ও সুন্নাহর দিকে। তিনি অন্যত্র বলেছেন,(আরবী)অর্থাৎ, নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ কর এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন ক’রে ফেলবে। (সূরা আনআম ১৫৩ আয়াত)তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। (সূরা আলে ইমরান ৩১ আয়াত)এ ছাড়া এ প্রসঙ্গে আরো বহু আয়াত রয়েছে। আর হাদীসসমূহ নিম্নরূপঃ
হাদিস সম্ভার : ১৫১
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ১৫১
নাওয়াস বিন সমআন আনসার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মহান আল্লাহ সরল পথের উপমা বর্ণনা করেছেন। তার দুই পাশে আছে দুটি প্রাচীর। তাতে আছে অনেক উন্মুক্ত দুয়ার। সকল দুয়ারে পর্দা ঝুলানো আছে। পথের মাথায় একজন আহবায়ক আছে। সে আহবান করে বলছে, ‘হে লোক সকল! তোমরা সরল পথে চলতে থাকো। বাঁকা পথে যেয়ো না।’ তার উপরেও একজন আহবায়ক আছে। যখনই কোন বান্দা কোন দুয়ার খুলতে চাচ্ছে, তখনই সে আহবান করে বলছে, ‘সর্বনাশ হোক তোমার! দুয়ারের পর্দা খুলে না। কারণ খুললেই তুমি তাতে প্রবেশ করে যাবে।‘সরল পথ হল ইসলাম। উন্মুক্ত দরজাসমূহ হল আল্লাহর হারামকৃত বস্তুসমূহ। প্রাচীর ও পর্দসমূহ হল আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। পথের শেষ মাথায় আহবায়ক হল কুরআন। উপরের আহবায়ক হল প্রত্যেক মুসলিমের হৃদয়ে আল্লাহর আহবায়ক।” (আহমাদ ১৭৬৩৪, হাকেম ২৪৫, সঃ জামে’ ৩৮৮৭নং)