৪৭.
অনুচ্ছেদঃ সন্তান হলো নয়ন প্রীতিকর।
আদাবুল মুফরাদ : ৮৬
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৮৬
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جَلَسْنَا إِلَى الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ يَوْمًا، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ: طُوبَى لِهَاتَيْنِ الْعَيْنَيْنِ اللَّتَيْنِ رَأَتَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَوَدِدْنَا أَنَّا رَأَيْنَا مَا رَأَيْتَ، وَشَهِدْنَا مَا شَهِدْتَ. فَاسْتُغْضِبَ، فَجَعَلْتُ أَعْجَبُ، مَا قَالَ إِلَّا خَيْرًا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: «مَا يَحْمِلُ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ يَتَمَنَّى مُحْضَرًا غَيَّبَهُ اللَّهُ عَنْهُ؟ لَا يَدْرِي لَوْ شَهِدَهُ كَيْفَ يَكُونُ فِيهِ؟ وَاللَّهِ، لَقَدْ حَضَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْوَامٌ كَبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ، لَمْ يُجِيبُوهُ وَلَمْ يُصَدِّقُوهُ، أَوَلَا تَحْمَدُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ أَخْرَجَكُمْ لَا تَعْرِفُونَ إِلَّا رَبَّكُمْ، فَتُصَدِّقُونَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ كُفِيتُمُ الْبَلَاءَ بِغَيْرِكُمْ، وَاللَّهِ لَقَدْ بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَشَدِّ حَالٍ بُعِثَ عَلَيْهَا نَبِيٌّ قَطُّ، فِي فَتْرَةٍ وَجَاهِلِيَّةٍ، مَا يَرَوْنَ أَنَّ دِينًا أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، فَجَاءَ بِفُرْقَانٍ فَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَفَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَوَلَدِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَرَى وَالِدَهُ أَوْ وَلَدَهُ أَوْ أَخَاهُ كَافِرًا، وَقَدْ فَتْحَ اللَّهُ قُفْلَ قَلْبِهِ بِالْإِيمَانِ، وَيَعْلَمُ أَنَّهُ إِنْ هَلَكَ دَخَلَ النَّارَ، فَلَا تَقَرُّ عَيْنُهُ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ حَبِيبَهُ فِي النَّارِ» ، وَأنَّهَا لِلَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ} [الفرقان: 74]
জুবায়ের ইবনে নুফায়ের (র) হতে বর্ণিতঃ
একদিন আমরা মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ)-র নিকট বসলাম। এক ব্যক্তি তাকে অতিক্রম করতে করতে বললো, ধন্য এই চক্ষুদ্বয়, যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে দর্শন করেছে। আল্লাহর শপথ! আমরা কামনা করতাম আপনি যা দেখেছেন যদি আমরাও তা দেখতাম এবং আপনি যেখানে উপস্থিত ছিলেন, আমরাও যদি তথায় উপস্থিত থাকতাম। এতে মিকদাদ (রাঃ) অসন্তুষ্ট হলেন। তাতে আমি অবাক হলাম যে, সে তো ভালো কথাই বলেছে। অতঃপর তিনি তার মুখোমুখি হয়ে বলেন, লোকটিকে এমন স্থানে উপস্থিতির আকাঙ্ক্ষা করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো, যেখান থেকে আল্লাহ তাকে অনুপস্থিত রেখেছেন? কি জানি যদি সে সেখানে উপস্থিত থাকতো তবে সে কি করতো। আল্লাহর শপথ বহু লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে দেখেছে কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছেন। কারণ তারা তাঁর আহবানে সাড়া দেয়নি এবং তাঁকে বিশ্বাসও করেনি। তোমরা কি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে না যে, তিনি তোমাদের যখন সৃষ্টি করেছেন তখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালক ছাড়া আর কাউকে চেনো না। তোমাদের নবী (সাঃ) যা নিয়ে এসেছেন তাকে তোমরা সত্য বলে মেনে নিয়েছো। আল্লাহর শপথ! নবী (সাঃ) আবির্ভূত হন কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, এরূপ কঠিন পরিস্থিতিতে আর কোন নবী আসেননি। নবী আসার পূর্বেকার সেই জাহিলিয়াতের দিনগুলিতে তারা প্রতিমা পূজার চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম আছে বলে মনে করতো না। এই পরিস্থিতিতে তিনি ফুরকানসহ আবির্ভূত হন। তিনি তাঁর দ্বারা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করেন, পার্থক্য সূচিত করেন পিতা ও তার পুত্রের মধ্যে। শেষে অবস্থা এই দাঁড়ায় যে, কোন ব্যক্তি তার পিতা বা পুত্র বা ভাইকে কাফের অবস্থায় দেখতো, অপরদিকে ঈমান আনার জন্য তার অন্তরের তালা আল্লাহ খুলে দিতেন, তখন সে ভাবতো, এই অবস্থায় তার আপনজন মারা গেলে নিশ্চয় সে দোযখে যাবে। এতে কারো চোখ জুড়াতো না। এই প্রসঙ্গে মহামহিম আল্লাহ বলেন, “এবং যারা বলে, আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রীদের ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদেরকে চোখের শীতলতা দান করো” (২৫ : ৭৪) (আবু দাউদ)।