২৫১.
অনুচ্ছেদঃ অহংকার-অহমিকা।
আদাবুল মুফরাদ : ৫৫০
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৫৫০
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الصَّقْعَبِ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ عَلَيْهِ جُبَّةُ سِيجَانٍ، حَتَّى قَامَ عَلَى رَأْسِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ قَدْ وَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ - أَوْ قَالَ: يُرِيدُ أَنْ يَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ - وَيَرْفَعَ كُلَّ رَاعٍ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَجَامِعِ جُبَّتِهِ فَقَالَ: «أَلَا أَرَى عَلَيْكَ لِبَاسَ مَنْ لَا يَعْقِلُ» ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ نُوحًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ لِابْنِهِ: إِنِّي قَاصٌّ عَلَيْكَ الْوَصِيَّةَ، آمُرُكَ بِاثْنَتَيْنِ، وَأَنْهَاكَ عَنِ اثْنَتَيْنِ: آمُرُكَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ، لَوْ وُضِعْنَ فِي كِفَّةٍ وَوُضِعَتْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ لَرَجَحَتْ بِهِنَّ، وَلَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ كُنَّ حَلْقَةً مُبْهَمَةً لَقَصَمَتْهُنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، فَإِنَّهَا صَلَاةُ كُلِّ شَيْءٍ، وَبِهَا يُرْزَقُ كُلُّ شَيْءٍ، وَأَنْهَاكَ عَنِ الشِّرْكِ وَالْكِبْرِ، فَقُلْتُ، أَوْ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الشِّرْكُ قَدْ عَرَفْنَاهُ، فَمَا الْكِبْرُ؟ هُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا حُلَّةٌ يَلْبَسُهَا؟ قَالَ: «لَا» ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا نَعْلَانِ حَسَنَتَانِ، لَهُمَا شِرَاكَانِ حَسَنَانِ؟ قَالَ: «لَا» ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا دَابَّةٌ يَرْكَبُهَا؟ قَالَ: «لَا» ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدِنَا أَصْحَابٌ يَجْلِسُونَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: «لَا» ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا الْكِبْرُ؟ قَالَ: «سَفَهُ الْحَقِّ، وَغَمْصُ النَّاسِ» [ص: 193]
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন বনভূমি থেকে সীজান (এক প্রকার মাছ) রং-এর জুব্বা পরিহিত এক ব্যক্তি এসে নবী (সাঃ) -এর মাথার কাছে দাঁড়ালো এবং বললো, তোমাদের সাথী প্রত্যেক আরোহীকে অবদমিত করেছে বা আরোহীদেরকে অবদমিত করার সংকল্প করেছে এবং প্রত্যেক রাখালকে সমুন্নত করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার জুব্বার হাতা ধরে বলেনঃ আমি কি তোমাকে নির্বোধের পোশাক পরিহিত দেখছি না? অতঃপর তিনি বলেনঃ আল্লাহর নবী হযরত নূহ (আবু দাউদ)-এর ইন্তিকালের সময় উপস্থিত হলে তিনি তাঁর পুত্রকে বলেনঃ আমি তোমাকে একটি উপদেশ দিচ্ছি। আমি তোমাকে দুটি বিষয়ের আদেশ দিচ্ছি এবং দুটি বিষয় নিষেধ করছি। আমি তোমাকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”-এর নির্দেশ দিচ্ছি। কেননাসাঈ, সাত আসমান ও সাত জমিনকে যদি এক পাল্লায় তোলা হয় এবং অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” তোলা হয়, তবে সেই তাওহীদের পাল্লাই ভারী হবে। সাত আসমান ও সাত জমিন যদি একটি জটিল গ্রন্থির রূপ ধারণ করে, তবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” এবং “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী” তা চুরমার করে দিবে। কেননা তা প্রত্যেক বস্তুর নামায এবং সকলেই এর বদৌলতে রিযিক লাভ করে থাকে। আর আমি তোমাকে বারণ করছি শিরক এবং অহংকারে লিপ্ত হতে। আমি বললাম অথবা বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! শিরক তো আমরা বুঝলাম, তবে অহংকার কি? আমাদের মধ্যকার কারো যদি কারুকার্য খচিত চাদর থাকে, আর তা পরিধান করে? তিনি বলেনঃ না। সে আবার বললো, যদি আমাদের কারো সুন্দর ফিতাযুক্ত সুন্দর একজোড়া জুতা থাকে? তিনি বলেনঃ না। সে পুনরায় বললো, যদি আমাদের কারো আরোহণের একটি জন্তুযান থাকে? তিনি বলেনঃ না। সে বললো, যদি আমাদের কারো বন্ধু-বান্ধব থাকে এবং তারা তার সাথে ওঠা-বসাও করে (তবে তা কি অহংকার হবে)? তিনি বলেনঃ না। সে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে অহংকার কি? তিনি বলেনঃ সত্য থেকে বিমুখ থাকা এবং মানুষকে হেয় জ্ঞান করা। (আহমাদ, নাসাঈ, বাযযার, হাকিম, হিব্বান, তাহাবী)