২০৪.
অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ব্যাখ্যা সাপেক্ষে অপরকে বললো, হে মুনাফিক।
আদাবুল মুফরাদ : ৪৪০
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৪৪০
حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ قَالَ: حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: بَعَثَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، وَكِلَانَا فَارِسٌ، فَقَالَ: «انْطَلِقُوا حَتَّى تَبْلُغُوا رَوْضَةَ كَذَا وَكَذَا، وَبِهَا امْرَأَةٌ مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبٍ إِلَى الْمُشْرِكِينَ، فَأْتُونِي بِهَا» ، فَوَافَيْنَاهَا تَسِيرُ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا حَيْثُ وَصَفَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: الْكِتَابُ الَّذِي مَعَكِ؟ قَالَتْ: مَا مَعِي كِتَابٌ، فَبَحَثْنَاهَا وَبَعِيرَهَا، فَقَالَ صَاحِبِي: مَا أَرَى، فَقُلْتُ: مَا كَذَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأُجَرِّدَنَّكِ أَوْ لَتُخْرِجِنَّهُ، فَأَهْوَتْ بِيَدِهَا إِلَى حُجْزَتِهَا وَعَلَيْهَا إِزَارٌ صُوفٌ، فَأَخْرَجَتْ، فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عُمَرُ: خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ، دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَهُ، وَقَالَ: «مَا حَمَلَكَ؟» فَقَالَ: مَا بِي إِلَّا أَنْ أَكُونَ مُؤْمِنًا بِاللَّهِ، وَأَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ لِي عِنْدَ الْقَوْمِ يَدٌ، قَالَ: " صَدَقَ يَا عُمَرُ، أَوَ لَيْسَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الْجَنَّةُ "، فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ وَقَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
মহানবী (সাঃ) আমাকে ও যুবাইর ইবনুল আওয়ামকে পাঠালেন। আমরা দুজনই ছিলাম ঘোড়সওয়ার। তিনি বলেনঃ “তোমরা রওয়ানা হয়ে অমুক অমুক রওদায় (বাগানে) গিয়ে পৌছবে। সেখানে এক নারীকে পাবে। তার সাথে একটি চিঠি আছে যা হাতেব মুশরিকদের লিখেছে। তোমরা সেই পত্র উদ্ধার করে আমার নিকট নিয়ে আসবে”। আমরা পথ চলতে লাগলাম এবং নবী (সাঃ)-এর দেয়া তথ্য মোতাবেক সেই নারীকে পেয়ে গেলাম। সে তার উটে করে যাচ্ছিল। আমরা বললাম, তোমার সাথের চিঠি কোথায়? সে বললো, আমার সাথে কোন চিঠি নাই। আমরা তাকে এবং তার উট তল্লাশী করলাম। আমার সাথী বললো, আমি তো (চিঠি) দেখি না। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিথ্যা বলেননি। আল্লাহর শপথ! হয় তুমি পত্র বের করে দিবে, নতুবা আমি তোমাকে উলঙ্গ করবো। তখন সে তার কোমরের দিকে তার হাত বাড়ালো। সে একটি পশমী কাপড় পরিহিত ছিল। সে চিঠি বের করলো। আমি তা নিয়ে নবী (সাঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। উমার (রাঃ) বললেন, এই ব্যক্তি (হাতিব) আল্লাহ, তার রাসূল এবং মুসলিম জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমাকে তাকে হত্যা করার অনুমতি দিন। নবী (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কেন এটা করলে? হাতিব বললেন, আল্লাহর উপর আমার ঈমান ঠিক আছে। আমি ইচ্ছা করলাম যে তাদের উপর আমার একটু অনুগ্রহ থাকুক। নবী (সাঃ) বলেনঃ সে ঠিক বলেছে। হে উমার! সে কি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। এজন্যই হয়তো আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেছেন, “তোমরা যা ইচ্ছা তাই করো, তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেছে”। এ কথায় উমার (রাঃ)-এর চক্ষুদ্বয় অশ্রুসজল হয়ে গেলো এবং তিনি বলেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ)