অনুচ্ছেদ-১৯

গনীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ অংশ (সাফী)

সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ২৯৭২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ جَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَنِي مَرْوَانَ حِينَ اسْتُخْلِفَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتْ لَهُ فَدَكُ فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا وَيَعُودُ مِنْهَا عَلَى صَغِيرِ بَنِي هَاشِمٍ وَيُزَوِّجُ مِنْهَا أَيِّمَهُمْ وَإِنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْهُ أَنْ يَجْعَلَهَا لَهَا فَأَبَى فَكَانَتْ كَذَلِكَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه عَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَيَاتِهِ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ فَلَمَّا أَنْ وَلِيَ عُمَرُ عَمِلَ فِيهَا بِمِثْلِ مَا عَمِلاَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ ثُمَّ أَقْطَعَهَا مَرْوَانُ ثُمَّ صَارَتْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَرَأَيْتُ أَمْرًا مَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ لَيْسَ لِي بِحَقٍّ وَأَنَا أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ رَدَدْتُهَا عَلَى مَا كَانَتْ يَعْنِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْخِلاَفَةَ وَغَلَّتُهُ أَرْبَعُونَ أَلْفَ دِينَارٍ وَتُوُفِّيَ وَغَلَّتُهُ أَرْبَعُمِائَةِ دِينَارٍ وَلَوْ بَقِيَ لَكَانَ أَقَلَّ ‏.‏

আল-মুগীরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন ‘উমার ইবনু ‘আব্দুল ‘আযীযকে (রহঃ) খলীফাহ নিযুক্ত করা হলে তিনি মারওয়ানের পুত্রদেরকে ডেকে একত্রে করে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাদাকের সম্পদের অধিকারী ছিলেন। এর থেকে তিনি তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ করতেন, গরীবদের সাহায্য করতেন, হাশিম গোত্রের নাবালক শিশুদের দান করতেন এবং তাদের বিধবাদের বিবাহে খরচ করতেন। তাঁর কন্যা ফাত্বিমাহ (রাঃ) তাঁর নিকট এ সম্পদ চাইলে তিনি তা দিতে অসম্মতি জানান। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবদ্দশায় তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তা এভাবেই রয়ে যায়। পরে আবূ বকর (রাঃ) খলিফাহ হলে তিনি তার জীবদ্দশায় এ সম্পদের ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নীতি অনুসরন করলেন। ‘উমারও (রাঃ) খলীফাহ হওয়ার পর মৃত্যুর পর্যন্ত উভয় পূর্বসূরীর নীতি অনুসরণ করলেন। অতঃপর মারওয়ান এ সম্পদ জায়গীর হিসাবে দখল করেন। এখন ‘উমার ইবনু ‘আবদুল আযীয(রহঃ) এর মালিক। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল আযীয (রহঃ) বললেন, আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সম্পদ ফাত্বিমাহকে(রাঃ) দেননি তা আমার জন্য কীভাবে বৈধ হবে! এতে আমার কোন অধিকার নাই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি অবশ্যই এ সম্পদ ঐ অবস্থায় নিব যেরূপ রাসূলুল্লাহর(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে ছিল।আবূ দাঊদ(রহঃ) বলেন, ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয(রহঃ) যখন খলীফাহ নিযুক্ত হন তখন ঐ সম্পদের মূল্য ছিল চল্লিশ হাজার দীনার এবং তাঁর মৃত্যুর সময় এর মূল্য দাঁড়ায় চার হাজার দীনার। তিনি জীবিত থাকলে এর মূল্য আরো কমতো।দুর্বলঃ মিশকাত (৪০৬৩)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন