পরিচ্ছেদ - ২৬২
যাচাই-তদন্ত করে সাবধানে কথাবার্তা বলা ও কোন কিছু নকল করে লেখার প্রতি উৎসাহ দান
মহান আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। (সূরা ইসরা ৩৬ আয়াত)তিনি বলেছেন, অর্থাৎ, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করুক না কেন, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে। (ক্বাফ ১৮ আয়াত)(এ মর্মে মহান আল্লাহর এ বাণীও অনেকে উল্লেখ করে থাকেন, ‘‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ন করে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখ; যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আঘাত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।’’ - সূরা হুজুরাত ৬ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ১৫৫৭
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৫৫৭
وَعَنْ أَسْمَاءَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا : أَنَّ امْرأةً قَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِنَّ لِي ضَرَّةً فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ إِنْ تَشَبَّعْتُ مِنْ زَوْجِي غَيْرَ الَّذِي يُعْطِينِي ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم المُتَشَبِّعُ بِما لَمْ يُعْطَ كَلاَبِسِ ثَوْبَيْ زُورٍ». متفق عَلَيْهِ
আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিতঃ
একটি মহিলা বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার এক সতীন আছে, সুতরাং স্বামী আমাকে যা দেয় না, তা নিয়ে যদি পরিতৃপ্তি প্রকাশ করি, তাতে আমার কোন ক্ষতি হবে কি?’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘যা দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে পরিতৃপ্তি প্রকাশকারী মিথ্যা দুই বস্ত্র পরিধানকারীর ন্যায়।’’
(সহীহুল বুখারী ৫২১৯, মুসলিম ২১৩০, আবূ দাউদ ৪৯৯৭, আহমাদ ২৬৩৮১, ২৬৩৮৯, ২৬৪৩৭) ‘পরিতৃপ্তি প্রকাশকারী’ যে প্রকাশ করে যে, সে পরিতৃপ্ত, অথচ আসলে সে তা নয়। এখানে উদ্দেশ্য হল, যে প্রকাশ করে যে, সে মর্যাদা লাভ করেছে, অথচ সে তা লাভ করেনি। আর ‘মিথ্যা দুই বস্ত্র পরিধানকারী’ হল সেই, যে লোকচক্ষুতে মেকী সাজে। লোককে ধোঁকা দেওয়ার জন্য সংসার-বিরাগী, আলেম অথবা ধনবান ব্যক্তির পোশাক পরিধান করে, অথচ সে তা নয়। এ ছাড়া অন্য কিছুও বলা হয়েছে। আর আল্লাহই অধিক জানেন।