পরিচ্ছদঃ ১৪
ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ طه ١ مَآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ لِتَشۡقَىٰٓ ٢ ﴾ [طه: ١، ٢] অর্থাৎ “ত্বা-হা-। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি।” (সূরা ত্বাহা ১-২ আয়াত)তিনি আরো বলেন,﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ﴾ [البقرة: ١٨٥] অর্থাৎ “আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা তাঁর কাম্য নয়।” (সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ আয়াত)
রিয়াদুস সলেহিন : ১৫৩
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৫৩
وعن أبي جحيفة وهب بن عبد الله رضي الله عنه قال: آخى النبي صلى الله عليه وسلم بين سلمان وأبى الدرداء ، فزار سلمان أبا الدرداء، فرأى أم الدرداء متبذلة فقال: ما شأنك قالت: أخوك أبو الدرداء ليس له حاجة في الدنيا، فجاء أبو الدراداء فصنع له طعاماً، فقال له: كل فإنى صائم، قال: ما أنا بآكل حتى تأكل، فأكل، فلما كان الليل ذهب أبو الدرداء يقوم فقال له: نم، فنام، ثم ذهب يقوم فقال له : نم، فلما كان من آخر الليل قال سلمان: قم الآن: فصليا جميعاً، فقال له سلمان: إن لربك عليك حقاً، وإن لنفسك عليك حقاً، ولأهلك عليك حقاً، فأعط كل ذى حق حقه، فأتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، فقال النبي صلى الله عليه وسلم "صدق سلمان" (رواه البخاري).
আবূ জুহাইফা ওয়াহব ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হিজরতের পর মদ্বীনায়) সালমান ও আবূ দারদার মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন। অতঃপর সালমান (একদিন তাঁর দ্বীনী ভাই) আবূ দারদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে (তাঁর বাড়ী) গেলেন। তিনি (আবূ দারদার স্ত্রী উম্মে দারদাকে দেখলেন, তিনি মলিন কাপড় পরে আছেন। সুতরাং তিনি তাঁকে বললেন, ‘তোমার এ অবস্থা কেন?’ তিনি বললেন, ‘তোমার ভাই আবূ দারদার দুনিয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই।’ (ইতোমধ্যে) আবূ দারদাও এসে গেলেন এবং তিনি তাঁর জন্য খাবার তৈরী করলেন। অতঃপর তাঁকে বললেন, ‘তুমি খাও। কেননা, আমি রোযা রেখেছি।’ তিনি বললেন, ‘যতক্ষণ না তুমি খাবে, আমি খাব না।’ সুতরাং আবূ দারদাও (নফল রোযা ভেঙ্গে দিয়ে তাঁর সঙ্গে) খেলেন।অতঃপর যখন রাত এল, তখন (শুরু রাতেই) আবূ দারদা নফল নামায পড়তে গেলেন। সালমান তাঁকে বললেন, ‘(এখন) শুয়ে যাও।’ সুতরাং তিনি শুয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি (বিছানা থেকে) উঠে নফল নামায পড়তে গেলেন। আবার সালমান বললেন, ‘শুয়ে যাও।’ অতঃপর যখন রাতের শেষাংশ এসে পৌঁছল, তখন তিনি বললেন, ‘এবার উঠে নফল নামায পড়।’ সুতরাং তাঁরা দু’জনে একত্রে নামায পড়লেন। অতঃপর সালমান তাঁকে বললেন, ‘নিশ্চয় তোমার উপর তোমার প্রভুর অধিকার রয়েছে। তোমার প্রতি তোমার আত্মারও অধিকার আছে এবং তোমার প্রতি তোমার পরিবারেরও অধিকার রয়েছে। অতএব তুমি প্রত্যেক অধিকারীকে তার অধিকার প্রদান কর।’ অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে সমস্ত ঘটনা শুনালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘সালমান ঠিকই বলেছে।’’[১]
[১] সহীহুল বুখারী ১৯৬৮, ৬১৩৯, তিরমিযী ২৪১৩