পরিচ্ছেদ - ২২৫

মুহাররম, শা'বান তথা অন্যান্য হারাম (পবিত্র) মাসে রোযা রাখার ফযীলত

রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১২৫৬

وعن مجِيبَةَ البَاهِلِيَّةِ عَنْ أَبِيهَا أَوْ عمِّها، أَنَّهُ أَتى رَسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ انطَلَقَ فَأَتَاهُ بعدَ سَنَة، وَقَد تَغَيَّرتْ حَالهُ وَهَيْئَتُه، فَقَالَ: يا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَا تعْرِفُنِي ؟ قَالَ: «وَمَنْ أَنتَ ؟» قَالَ: أَنَا البَاهِلِيُّ الذي جِئتك عامَ الأَوَّلِ . قَالَ: «فَمَا غَيَّرَكَ، وقَدْ كُنتَ حَسَنَ الهَيئةِ ؟ » قَالَ: ما أَكلتُ طعاماً منذ فَارقْتُكَ إِلاَّ بلَيْلٍ . فَقَال رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :«عَذّبْتَ نَفسَكَ»، ثُمَّ قَالَ: «صُمْ شَهرَ الصَّبرِ، ويوماً مِنْ كلِّ شَهر» قال: زِدْنـي، فإِنَّ بي قوَّةً، قَالَ: «صُمْ يَوميْنِ» قال: زِدْني، قال: «صُمْ ثلاثَةَ أَيَّامٍ» قالَ: زِدْني . قال: «صُمْ مِنَ الحُرُمِ وَاتْرُكْ، صُمْ مِنَ الحرُم وَاترُكْ، صُمْ مِنَ الحرُمِ وَاتْرُكُ» وقالَ بِأَصَابِعِهِ الثَّلاثِ فَضَمَّهَا، ثُمَّ أَرْسَلَهَا . رواه أبو داود . «و شهرُ الصَّبرِ»: رَمضانُ

মুজীবাহ আল-বাহিলিয়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তার বাবা বা চাচা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হন। অতঃপর তিনি চলে যান এবং একবছর পর পুনরায় উপস্থিত হন। তার অবস্থা ও চেহারা-সুরাত সে সময় (অনেক) পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমাকে কি আপনি চিনতে পারছেন না? জবাবে তিনি বললেন, কে তুমি? তিনি বলেন, আমি হলাম সেই বাহিলী, আপনার নিকট প্রথম বছরে এসেছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার এ পরিবর্তন কিভাবে হল, তোমার চেহারা-সুরত না বেশ সুন্দর ছিল? বাহিলী উত্তর দেন, আপনার নিকট হতে বিদায় নেয়ার পর থেকে আমি প্রতি রাতে ব্যতীত আর কখনো খাদ্য গ্রহণ করিনি (প্রতিদিন রোযা রেখেছি)। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নিজের জীবনকে তুমি কষ্ট দিয়েছ। অতঃপর বললেন, রমজানে রোযা রাখো, এরপর প্রতি মাসে একদিন করে (রোযা রাখো)। বাহিলী বলল, আরো বেশি করে দিন, কারণ আমার ভিতর এর শক্তি আছে। জবাবে বললেন, ঠিক আছে, প্রতি মাসে দু‘দিন করে। বাহিলী বলেন, আমি অধিক সামর্থ্য রাখি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে প্রতি মাসে তিনদিন করে। বাহিলী বলেন, আরো বেশী করুন। জবাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হারাম মাসগুলোয় (যিলক্বদ, যিলহাজ্জ, মুহাররাম ও রজব) রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও, হারাম মাসগুলোয় রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও, হারাম মাসগুলোয় রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নিজের তিন আঙ্গুল দিয়ে তিনি ইশারা করেন, প্রথমে সেগুলোকে মিলিত করেন, তারপর ছেড়ে দেন (অর্থাৎ, তিনদিন রোযা রাখো এবং তিনদিন খাও। (আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সনদটি দুর্বল। যেমনটি আমি “আত্‌তা‘লীকুর রাগীব আলাত্ তারগীব অত্‌তারহীব” গ্রন্থে (২/৮২) বর্ণনা করেছি। এর সনদের বর্ণনাকারী মুজীবাহ্ বাহেলিয়্যাহ্ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি গারীব তাকে চেনা যায় না। উল্লেখ্য বর্ণনাকারী আবুস সালীল তার থেকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এ সনদের মধ্যে মুজীবাহ্ কার থেকে বর্ণনা করেছেন সে ব্যাপারে ইযতিরাবও সংঘটিত হয়েছে। বিস্তারিত দেখুন “য‘ঈফু আবী দাঊদ-আলউম্ম-” গ্রন্থে (নং ৪১৯)।

উল্লেখ্য কাহমাস হিলালী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হতে মারফূ' হিসেবে অনুরূপ ঘটনা সম্বলিত হাদীসটির একটি ভালো শাহেদ রয়েছে (কিন্তু ঘটনা এক নয়)। তবে "যিদনী..." এ অংশ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ছাড়া। কাহমাস হিলালী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি সহীহ্‌ বিধায় সেটিকে "সিলসিল্যাহ্‌ সহীহাহ্‌" গ্রন্থে (২৬২৩) উল্লেখ করা হয়েছে।)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন