১০. অধ্যায়ঃ
স্বপ্নের ব্যাখ্যা
সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৯২০
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ৩৯২০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَجَلَسْتُ إِلَى أَشْيِخَةٍ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ شَيْخٌ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَصًا لَهُ فَقَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا . فَقَامَ خَلْفَ سَارِيَةٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ كَذَا وَكَذَا . قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الْجَنَّةُ لِلَّهِ يُدْخِلُهَا مَنْ يَشَاءُ وَإِنِّي رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رُؤْيَا رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلاً أَتَانِي فَقَالَ لِيَ انْطَلِقْ . فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَسَلَكَ بِي فِي مَنْهَجٍ عَظِيمٍ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَلَى يَسَارِي فَأَرَدْتُ أَنْ أَسْلُكَهَا فَقَالَ إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا . ثُمَّ عُرِضَتْ عَلَىَّ طَرِيقٌ عَنْ يَمِينِي فَسَلَكْتُهَا حَتَّى إِذَا انْتَهَيْتُ إِلَى جَبَلٍ زَلَقٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي فَإِذَا أَنَا عَلَى ذُرْوَتِهِ فَلَمْ أَتَقَارَّ وَلَمْ أَتَمَاسَكْ وَإِذَا عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ فِي ذُرْوَتِهِ حَلْقَةٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَّلَ بِي حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَالَ اسْتَمْسَكْتَ قُلْتُ نَعَمْ فَضَرَبَ الْعَمُودَ بِرِجْلِهِ . فَاسْتَمْسَكْتُ بِالْعُرْوَةِ . فَقَالَ قَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَ " رَأَيْتَ خَيْرًا أَمَّا الْمَنْهَجُ الْعَظِيمُ فَالْمَحْشَرُ وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَسَارِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ النَّارِ وَلَسْتَ مِنْ أَهْلِهَا وَأَمَّا الطَّرِيقُ الَّتِي عُرِضَتْ عَنْ يَمِينِكَ فَطَرِيقُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَمَّا الْجَبَلُ الزَّلَقُ فَمَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ الَّتِي اسْتَمْسَكْتَ بِهَا فَعُرْوَةُ الإِسْلاَمِ فَاسْتَمْسِكْ بِهَا حَتَّى تَمُوتَ " . فَأَنَا أَرْجُو أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَإِذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ .
খারাশাহ ইবনুল হুর্র (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মদীনায় পৌছে মসজিদে নববীতে প্রবীনদের এক মজলিসে বসলাম। একজন প্রবীন লোক তার লাঠিতে ভর দিয়ে আসলেন। লোকেরা বললো, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী লোক দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির দিকে তাকায়। তিনি খুঁটির পেছনে দাঁড়িয়ে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করলেন। আমি উঠে গিয়ে তাকে বললাম, লোকেরা এই এই বলেছে। তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, জান্নাত আল্লাহর এবং তিনি যাকে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করাবেন। আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি দেখলাম এক ব্যক্তি যেন আমার নিকট এসে আমাকে বললো, চলুন। আমি তার সাথে গেলাম। সে আমাকে একটি বিরাট প্রশস্ত রাস্তায় পৌছে দিলো। আমার বাঁ দিকে একটি পথ দেখানো হলো। আমি সেই পথ ধরে অগ্রসর হতে চাইলাম। সে বললো, তুমি এ পথের উপযুক্ত নও। অতঃপর আমার ডানে একটি রাস্তা দেখানো হলো। আমি সেই রাস্তা দিয়ে অগ্রসর হলাম। আমি একটি পিচ্ছিল পাহাড়ে পৌছলে সে আমার হাত ধরে আমাকে ধাক্কা দিলো এবং আমি এর চূড়ায় পৌছে গেলাম, কিন্তু আমি সেখানে স্থির হয়ে থাকতে পরলাম না। আমি এর চূড়ায় লোহার একটি খুঁটি দেখতে পেলাম। এর চূড়ায় ছিলো একটি সোনার হাতল। সে (ফেরেশতা) আমার হাত ধরে ধাক্কা দিলে আমি সেই হাতল ধরে ফেললাম। সে বললো, তুমি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরেছ? আমি বললাম, হাঁ। সে তার পা দ্বারা খুঁটিতে আঘাত করলে আমি হাতলটি দৃঢ়ভাবে ধরে ফেললাম। তিনি বললেন, আমি ঘটনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অবহিত করলাম। তিনি বলেনঃ তুমি উত্তম স্বপ্ন দেখেছো। বিরাট প্রশস্ত রাস্তাটি হলো হাশরের ময়দান। তোমার বাঁ দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে তা হলো জাহান্নামীদের রাস্তা। তুমি জাহান্নামী নও। তোমার ডান দিক দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে তা হলো জান্নাতীদের রাস্তা। পিচ্ছিল পাহাড়টি হলো শহীদদের মনযিল। যে হাতলটি তুমি আঁকড়ে ধরেছিলে, সেটি হলো ইসলামের হাতল। অতঃএব তুমি আমৃত্যু এটি আঁকড়ে ধরে রাখবে। আশা করি আমি জান্নাতবাসী হবো। স্বপ্নটি দেখেছিলেন আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ)। [৩২৫২]
[৩২৫২] সহীহুল বুখারী ৩৮১৩, মুসলিম ২৪৮৪, আহমাদ ২৩২৭৫।