১৭/১৪. অধ্যায়ঃ
সন্তানের দাবীদার হওয়া সম্পর্কে
সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৭৪৬
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৭৪৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلاَلٍ الدِّمَشْقِيُّ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ مِنْ بَعْدِهِ فَقَضَى أَنَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ أَصَابَهَا فَقَدْ لَحِقَ بِمَنِ اسْتَلْحَقَهُ وَلَيْسَ لَهُ فِيمَا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَىْءٌ وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ وَلاَ يَلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لاَ يَمْلِكُهَا أَوْ مِنْ حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا فَإِنَّهُ لاَ يَلْحَقُ وَلاَ يُورَثُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنًا لأَهْلِ أُمِّهِ مَنْ كَانُوا حُرَّةً أَوْ أَمَةً " . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ يَعْنِي بِذَلِكَ مَا قُسِمَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ الإِسْلاَمِ .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ), হতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোনো ব্যাক্তির মৃত্যুর পর কোনো শিশুকে তার সন্তানরুপে তার সাথে সম্পৃক্ত করা হলো এবং মৃতের ওয়ারিসগণ তার সম্পর্কে এই দাবি করলো, “সে আমাদের বংশীয়”, তার ক্ষেত্রে ফয়সালা এই যে, সে যে দাসীর গর্ভজাত, মালিকের মালিকানায় থাকা অবস্থায় যদি তার সাথে সঙ্গম হয়ে থাকে তবে সেই সন্তান যার বলে দাবি করা হচ্ছে তার সাথে সম্পৃক্ত হবে। তবে ইতোপূর্বে (জাহিলী যুগে) যে ওয়ারিসী স্বত্ব বন্টিত হয়েছে সে তার কিছুই পাবে না। আর যে ওয়ারিসী স্বত্ব এখনো বন্টিত হয়নি তা থেকে সে তার অংশ পাবে। পক্ষান্তরে তাকে যে পিতার সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, সেই পিতা তাকে অস্বীকার করলে ওয়ারিসগণের দাবির কোনো কার্যকারিতা নেই। আর সেই সন্তান যদি তার মালিকানাধীন কোন দাসীর গর্ভজাত হয়ে থাকে অথবা কোনো স্বাধীন নারীর সাথে তার যেনার পরিণতিতে হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত সন্তান তার সাথে সম্পৃক্ত হবে না এবং সে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তিও পাবে না, যদিও সে তাকে তার সন্তান বলে দাবি করে। সে হবে জারজ সন্তান। সে তার মায়ের বংশের সাথে সম্পৃক্ত হবে, সে স্বাধীন নারী হোক বা কৃতদাসী। রাবী মুহাম্মাদ বিন রাশেদ বলেন, এখানে বন্টনের অর্থ হলোঃ যে ওয়ারিসী স্বত্ব ইসলামের পূর্বে জাহিলী যুগে বন্টিত হয়েছে। [২৭৪৬]তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
[২৭৪৬] আবূ দাউদ ২২৬৫, আহমাদ ৬৬৬০, ৭০০৬, দারেমী ৩১১১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন রাশীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার হাদিস হাসান। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২০৮, ২৫/১৮৬ নং পৃষ্ঠা) ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা)