১৩/৫৭. অধ্যায়ঃ
পাওনাদারের কঠোর আচরণ করার অধিকার আছে
সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪২৬
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ২৪২৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ أَبُو شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ، - أَظُنُّهُ قَالَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَتَقَاضَاهُ دَيْنًا كَانَ عَلَيْهِ فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ حَتَّى قَالَ لَهُ أُحَرِّجُ عَلَيْكَ إِلاَّ قَضَيْتَنِي . فَانْتَهَرَهُ أَصْحَابُهُ وَقَالُوا وَيْحَكَ تَدْرِي مَنْ تُكَلِّمُ قَالَ إِنِّي أَطْلُبُ حَقِّي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَلاَّ مَعَ صَاحِبِ الْحَقِّ كُنْتُمْ " . ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى خَوْلَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَقَالَ لَهَا " إِنْ كَانَ عِنْدَكِ تَمْرٌ فَأَقْرِضِينَا حَتَّى يَأْتِيَنَا تَمْرٌ فَنَقْضِيَكِ " . فَقَالَتْ نَعَمْ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ فَأَقْرَضَتْهُ فَقَضَى الأَعْرَابِيَّ وَأَطْعَمَهُ فَقَالَ أَوْفَيْتَ أَوْفَى اللَّهُ لَكَ . فَقَالَ " أُولَئِكَ خِيَارُ النَّاسِ إِنَّهُ لاَ قُدِّسَتْ أُمَّةٌ لاَ يَأْخُذُ الضَّعِيفُ فِيهَا حَقَّهُ غَيْرَ مُتَعْتَعٍ " .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তার ঋণ শোধের জন্য তাঁকে কঠোর ভাষায় তাগাদা দিলো, এমনকি সে তাঁকে বললো, আমার ঋণ পরিশোধ না করলে আমি আপনাকে নাজেহাল করবো। সাহাবীগণ তার উপর চড়াও হতে উদ্যত হয়ে বললেন , তোমার অনিষ্ট হোক! তুমি কি জানো কার সাথে কথা বলছো? সে বললো, আমি আমার পাওনা দাবি করছি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা কেন পাওনাদারের পক্ষ নিলে না? অতঃপর তিনি কায়েসের কন্যা খাওলা (রাঃ) -এর নিকট লোক পাঠিয়ে তাকে বললেন, তোমার কাছে খেজুর থাকলে আমাকে ধার দাও। আমার খেজুর আসলে তোমার ধার পরিশোধ করবো। খাওলা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, আমার পিতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক, ইয়া রাসূলাল্লাহ। রাবী বলেন, তিনি তাঁকে ধার দিলেন। তিনি বেদুঈনের পাওনা পরিশোধ করলেন এবং তাকে আহার করালেন। তিনি বলেনঃ উত্তম লোকেরা এমনই হয়। যে জাতির দুর্বল লোকেরা জোর-জবরদস্তি ছাড়া তাদের পাওনা আদায় করতে পারে না সেই জাতি কখনো পবিত্র হতে পারেনা। [২৪২৬]
[২৪২৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব ৩/৪০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।