৭/৪৮. অধ্যায়ঃ
রোযাদারের দুআ প্রত্যাখ্যাত হয় না (কবুল হয়)।
সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৭৫২
সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস নম্বর ১৭৫২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سَعْدَانَ الْجُهَنِيِّ عَنْ سَعْدٍ أَبِي مُجَاهِدٍ الطَّائِيِّ وَكَانَ ثِقَةً عَنْ أَبِي مُدِلَّةَ وَكَانَ ثِقَةً عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمْ الْإِمَامُ الْعَادِلُ وَالصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللهُ دُونَ الْغَمَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَتُفْتَحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَيَقُولُ بِعِزَّتِي لَأَنْصُرَنَّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দুআ রদ হয় নাঃ ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোযাদার যতক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দুআ। কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তার দুআ মেঘমালার উপরে তুলে নিবেন এবং তার জন্য আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং আল্লাহ্ বলবেনঃ আমার মর্যাদার শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো, একটু বিলম্বেই হোক না কেন। [১৭৫২]
[১৭৫২] তিরমিযী ৩৫৯৮, যঈফাহ ১৪৫৮, রোযাদার ও মাযলুমের দুয়ার কথা সহীহ এবং ন্যায়পরায়ণ ইমাম এর স্থলে মুসাফিরের কথা সহীহ। সহীহাহ ৫৯৬, ১৭৯৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মুদিল্লাহ হল আইশাহ (রাঃ) এর আযাদকৃত দাস এবং আমরা তাকে এই হাদিস দ্বারা চিনতে পেরেছি। বিষয়টি যদি তাই হয় তবে উসুলী কায়িদাহ অনুযায়ী সে একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি। ইমাম মাদানী বলেছেন, তার নাম জানা যায়নি। সে অজ্ঞাত এবং আবু মুজাহিদ ব্যাতিত কেউ তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেনি। মুলতঃ তার সম্পর্কে এরূপ বক্তব্য তার হাদিসকে হাসান করেন না, বিশেষ করে হাদিসটি আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত ভিন্ন একটি হাদিসের বিপরীত। সেই হাদিসটি রয়েছে সহীহাহ ২য় খণ্ড ৭ম অধ্যায়ে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৬১১, ৩৪/২৬৯ নং পৃষ্ঠা)