পরিচ্ছেদঃ
জ্বিন ও শয়তান জগৎ
হাদিস সম্ভার : ৯৩
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৯৩
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
একদা আবুস সায়েব আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) -এর নিকট তাঁর বাড়িতে গেলেন। দেখলেন, তিনি নামায পড়ছেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নামায শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। ইত্যবসরে বাড়ির এক প্রান্তে (ছাদে লাগানো) খেজুর কাঁদির ডালগুলিতে কিছু নড়া-সরা করার শব্দ শুনতে পেলাম। দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখি, একটি সাপ। আমি লাফিয়ে উঠে তা মারতে উদ্যত হলাম। কিন্তু তিনি আমাকে ইশারা ক’রে বললেন, ‘বসে যাও।’ সুতরাং আমি বসে গেলাম। অতঃপর নামায শেষ হলে তিনি আমাকে বাড়ির ভিতরে একটা ঘর দেখিয়ে বললেন, ‘এ ঘরটা দেখছ?’ আমি বললাম, ‘জী।’ তিনি বললেন, ‘এ ঘরে আমাদেরই একজন নব্য বিবাহিত যুবক ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে খন্দকের প্রতি বের হয়েছিলাম। সেই যুবক দুপুরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি নিয়ে নিজ বাসায় ফিরত। সে একদিন তাঁর নিকট অনুমতি নিল। তিনি বললেন, “তুমি তোমার অস্ত্র সঙ্গে নাও। তোমার প্রতি কুরাইযার আশঙ্কা হয়।”সুতরাং সে নিজ অস্ত্র নিয়ে বাসায় ফিরল। দেখল তার (নতুন) বউ দরজার দুই চৌকাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। সে ঈর্ষান্বিত হয়ে বর্শা তুলে তাকে আঘাত করতে উদ্যত হল! তার স্ত্রী তাকে বলল, ‘আপনি আপনার বর্শা নিবারণ করুন। বাসায় প্রবেশ করুন, তাহলে দেখতে পাবেন, কে আমাকে বের করেছে?’সুতরাং সে বাসায় প্রবেশ করে দেখল, একটি বৃহদাকার সাপ বিছানায় কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে! অতএব সে বর্শা দিয়ে আঘাত করে তাকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর কক্ষ থেকে বের হয়ে বাড়ির (মাটিতে) বর্শাটিকে গেড়ে দিল। তৎক্ষণাৎ সাপটি ছট্ফট্ ক’রে লাফিয়ে উঠে তার উপর হামলা করল। অতঃপর জানা গেল না যে, কে আগে সত্বর মারা গেল; সাপটি, নাকি যুবকটি?আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট গিয়ে এ ঘটনা বর্ণনা করলাম এবং বললাম, ‘আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, যাতে তিনি ওকে বাঁচিয়ে তোলেন।‘ তিনি বললেন, “তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।” অতঃপর বললেন, “অবশ্যই মদীনায় কিছু জ্বিন আছে, যারা মুসলমান হয়েছে। সুতরাং তাদের কাউকে (সর্পাকারে) দেখলে তাকে তিন দিন সতর্ক কর। অতঃপর উচিত মনে হলে তাকে হত্যা কর। কারণ সে শয়তান।” (মুসলিম ৫৯৭৬নং)