পরিচ্ছেদঃ
তাহাজ্জুদের নামায পড়ুক আর না পড়ুক ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ে ডান পার্শ্বে শোয়া মুস্তাহাব ও তার প্রতি উৎসাহ দান।
হাদিস সম্ভার : ৮৭২
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৮৭২
وَعَنْهُ ا قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلاَةِ العِشَاءِ إلَى الفَجْرِ إِحْدَى عَشرَةَ رَكْعَةً يُسَلِّمُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ فَإِذَا سَكَتَ المُؤَذِّنُ مِنْ صَلاَةِ الفَجْرِ وَتَبَيَّنَ لَهُ الفَجْرُ وَجَاءهُ المُؤَذِّنُ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَينِ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ هكَذَا حَتَّى يأْتِيَهُ المُؤَذِّنُ لِلإِقَامَةِ رَوَاهُ مُسلِم
উক্ত আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এশার নামায শেষ করার পর থেকে নিয়ে ফজরের নামায অবধি এগার রাকআত (তাহাজ্জুদের নামায পড়তেন)। প্রত্যেক দু’ রাকআতে সালাম ফিরাতেন এবং এক রাকআত বিত্র পড়তেন। অতঃপর যখন মুআয্যিন ফজরের নামাযের আযান দিয়ে চুপ হত এবং ফজর তাঁর সামনে উজ্জ্বল হয়ে উঠত, আর মুআয্যিন (ফজরের সময় সম্পর্কে অবহিত করার জন্য) তাঁর কাছে আসত, তখন তিনি উঠে সংক্ষিপ্তভাবে দু’ রাকআত নামায পড়ে নিতেন। তারপর ডান পার্শ্বে শুয়ে (জিরিয়ে) নিতেন। এইভাবে মুআয্যিন নামাযের তাকবীর দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে হাযির হওয়া পর্যন্ত (তিনি শুয়ে থাকতেন)।’ (মুসলিম ১৭৫২নং)‘প্রত্যেক দুই রাকআতে সালাম ফিরাতেন।’ এরূপ মুসলিম শরীফে উল্লিখিত হয়েছে। এর মানে ‘প্রত্যেক দু’ রাকআত পর।’