পরিচ্ছেদঃ
ওযুর ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ إِلَى قَوْله تَعَالَى: مَا يُريدُ اللهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلكِنْ يُريدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَঅর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসহ কর এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত কর। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তাহলে বিশেষভাবে (গোসল ক’রে) পবিত্র হও। যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা হতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রী-সহবাস কর এবং পানি না পাও, তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় মাসাহ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান ও তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (সূরা ময়েদাহ ৬ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৫৫৪
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৫৫৪
عَن أَبِى حَازِمٍ قَالَ كُنْتُ خَلْفَ أَبِى هُرَيْرَةَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ فَكَانَ يَمُدُّ يَدَهُ حَتَّى تَبْلُغَ إِبْطَهُ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا هَذَا الْوُضُوءُ فَقَالَ يَا بَنِى فَرُّوخَ أَنْتُمْ هَا هُنَا لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكُمْ هَا هُنَا مَا تَوَضَّأْتُ هَذَا الْوُضُوءَ سَمِعْتُ خَلِيلِى صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُولُ تَبْلُغُ الْحِلْيَةُ مِنَ الْمُؤْمِنِ حَيْثُ يَبْلُغُ الْوَضُوءُ
আবু হাযেম হতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা (রাঃ) যখন নামাযের জন্য ওযু করছিলেন, তখন আমি তাঁর পশ্চাতে ছিলাম। দেখলাম, হাতকে লম্বা করে ধুচ্ছিলেন, এমন কি বগল পর্যন্ত হাত ফিরাচ্ছিলেন। আমি তাকে বললাম, ‘হে আবু হুরাইরাহ! এ আবার কোন ওযু?’ তিনি বললেন, “হে ফর্রুখের বংশধর! তোমরা এখানে রয়েছ? যদি আমি জানতাম যে, তোমরা এখানে রয়েছ তাহলে এ ওযু করতাম না। আমি আমার বন্ধু নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, “ওযুর পানি যদ্দূর পৌঁছবে তদ্দুর মুমিনের অঙ্গে অলংকার (জ্যোতি) শোভমান হবে।” (মুসলিম ৬০৯নং)