পরিচ্ছেদঃ
শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
আল্লাহ তাআলা বলেন,অর্থাৎ, এতএব তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। (সূরা বাকুরাহ ১৪৮ আয়াত) তিনি আরো বলেছেন,অর্থাৎ, তোমরা প্রতিযোগিতা (ত্বরা) কর, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে ক্ষমা এবং বেহেশ্তের জন্য, যার প্রস্থ আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা ধর্মভীরুদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (সূরা আল ইমরান ১৩৩ আয়াত)এ বিষয়ে হাদীসসমূহ নিম্নরূপঃ
হাদিস সম্ভার : ৪৩৫
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৪৩৫
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أن رَسُولَ الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ يَومَ خَيبَر لأُعْطِيَنَّ هذِهِ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ يَفتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيهِ قَالَ عُمَرُ مَا أحبَبْتُ الإِمَارَة إلاَّ يَومَئِذٍ فَتَسَاوَرتُ لَهَا رَجَاءَ أنْ أُدْعَى لَهَا فَدَعَا رَسُولُ الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم عَلِيَّ بنَ أبِي طَالِبٍ فَأعْطَاهُ إيَّاهَا وَقَالَ امْشِ وَلا تَلتَفِتْ حَتَّى يَفتَحَ اللهُ عَلَيكَ فَسَارَ عليٌّ شيئاً ثُمَّ وَقَفَ وَلَمْ يَلتَفِتْ فَصَرَخَ : يَا رَسُولَ الله عَلَى مَاذَا أُقَاتِلُ النّاسَ ؟ قَالَ قاتِلْهُمْ حَتَّى يَشْهَدُوا أنْ لَا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ الله فَإِذَا فَعَلُوا فقَدْ مَنَعُوا مِنْكَ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّهَا وحِسَابُهُمْ عَلَى الله رواه مسلم
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের দিন বললেন, “নিশ্চয় আমি এই পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসে। আল্লাহ তাআলা তার হাতে বিজয় দান করবেন।” উমার (রাঃ) বলেন, ‘আমি কখনো কর্তৃত্বভার গ্রহণের ইচ্ছা করিনি (কিন্তু সেদিনই আমার বাসনা হল)। সুতরাং আমি এই আশাতে উঠে উঁচু হয়ে দাঁড়াতে থাকলাম; যেন আমাকে এর জন্য ডাকা হয়।’ অবশেষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী বিন আবী তালেব (রাঃ)-কে ডাকলেন। তারপর তিনি তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বললেন, “তুমি চলতে শুরু কর এবং কোন দিকে তাকবে না যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাআলা তোমাকে বিজয় দান করবেন।” অতঃপর আলী (রাঃ) কিছু দূর গিয়ে থেমে গেলেন এবং কোন দিকে না তাকিয়ে উচু আওয়াজে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি কিসের জন্য লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব?’ তিনি বললেন, “তুমি সে পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত তারা এ কথার সাক্ষ্য না দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (কেউ সত্য) উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রসূল। যখন তারা এ কাজ করবে তখন নিঃসন্দেহে তাদের জান ও মালকে তোমার হাত হতে বাঁচিয়ে নেবে। কিন্তু তার অধিকারের সাথে (অর্থাৎ সে যদি কোন মুসলমানকে হত্যা করে, তাহলে প্রতিশোধ স্বরূপ তাকে হত্যা করা বৈধ হবে এবং সে যদি কারোর মাল ছিনিয়ে নেয় অথবা যাকাত না দেয়, তাহলে সে মাল তার কাছ থেকে আদায় করা জরুরী।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।” (মুসলিম ৬৩৭৫নং)