পরিচ্ছেদঃ
ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থাৎ, ত্ব-হা। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি। (সূরা ত্বহা ১-২ আয়াত)তিনি আরো বলেন,অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা তাঁর কাম্য নয়। (সূরা বাকুরাহ ১৮৫ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৪০৩
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৪০৩
وعَنْ أَبيْ رِبعِي حَنظَلَةَ بنِ الربيعِ الأُسَيِّدِيِّ الكَاتِب أَحَدِ كُتَّابِ رَسُولِ الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ : لَقِيَنِي أَبُو بَكر فَقَالَ : كَيْفَ أنْتَ يَا حنْظَلَةُ ؟ قُلْتُ : نَافَقَ حَنْظَلَةُ قَالَ : سُبْحَانَ الله مَا تَقُولُ قُلْتُ: نَكُونُ عَندَ رَسُولِ الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُذَكِّرُنَا بِالجَنَّةِ وَالنَّارِ كأنَّا رَأيَ عَيْنٍ فإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عَندِ رَسُول الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم عَافَسْنَا الأَزْواجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ نَسينَا كَثِيراً قَالَ أَبُو بكر فَوَالله إنَّا لَنَلْقَى مِثْلَ هَذَا فانْطَلَقْتُ أَنَا وأبُو بَكْر حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى رَسُول الله صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فقُلْتُ : نَافَقَ حَنْظَلَةُ يَا رَسُول اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَمَا ذَاكَ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُول اللهِ نَكُونُ عَندَكَ تُذَكِّرُنَا بِالنَّارِ والجَنَّةِ كأنَّا رَأيَ العَيْن فإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عَندِكَ عَافَسْنَا الأَزْواجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ نَسينَا كَثِيراً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَالَّذِي نَفْسي بِيَدِهِ لَوْ تَدُومُونَ عَلَى مَا تَكُونونَ عَندِي وَفي الذِّكْر لصَافَحَتْكُمُ الملائِكَةُ عَلَى فُرُشِكُمْ وَفي طُرُقِكُمْ لَكِنْ يَا حَنْظَلَةُ سَاعَةً وسَاعَةً ثَلاَثَ مَرَات رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন কেরানী আবু রিব্য়ী হান্যালাহ বিন রাবী’ উসাইয়িদী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
একদা আবু বাক্র (রাঃ), আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ ক’রে বললেন, ‘হে হান্যালাহ! তুমি কেমন আছ?’ আমি বললাম, ‘হান্যালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে!’ তিনি (আশ্চর্য হয়ে) বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ! এ কী কথা বলছ?’ আমি বললাম ‘(কথা এই যে, যখন) আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে থাকি, তিনি আমাদের সামনে এমন ভঙ্গিমায় জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা করেন যেন আমরা তা স্বচক্ষে দেখছি। অতঃপর যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে বের হয়ে আসি, তখন স্ত্রী সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য (পার্থিব) কারবারে ব্যস্ত হয়ে অনেক কিছু ভুলে যাই।’ আবু বাক্র (রাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর কসম! আমাদেরও তো এই অবস্থা হয়।’ সুতরাং আমি ও আবু বাক্র (রাঃ) গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে হাজির হলাম। অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! হান্যালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে।’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সে কী কথা?” আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা যখন আপনার নিকটে থাকি, তখন আপনি আমাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের কথা এমনভাবে শুনান; যেমন নাকি আমরা তা প্রত্যক্ষভাবে দেখছি। অতঃপর আমরা যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যাই এবং স্ত্রী সন্তান-সন্ততিও কারবারে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন অনেক কথা ভুলে যাই।’ (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি তোমরা সর্বদা এই অবস্থায় থাকতে, যে অবস্থাতে তোমরা আমার নিকটে থাক এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে, তাহলে ফিরিশ্তাগণ তোমাদের বিছানায় ও তোমাদের পথে তোমাদের সঙ্গে মুসাফাহ করতেন। কিন্তু ওহে হান্যালাহ! (সর্বদা মানুষের এক অবস্থা থাকে না) কিছু সময় (ইবাদতের জন্য) ও কিছু সময় (সাংসারিক কাজের জন্য)।” তিনি এ কথা তিনবার বললেন। (মুসলিম ৭১৪২-৭১৪৩নং)