পরিচ্ছেদঃ
অল্পে তুষ্টি চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ন্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আর ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোন এমন প্রাণী নেই যে, তার রুযী আল্লাহর দায়িত্বে নেই। (সুরা হুদ ৬ আয়াত)তিনি আরো বলেন(আরবী)অর্থাৎ, (দান) অভাবগ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য; যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, জীবিকার সন্ধানে ভূপৃষ্ঠে ঘোরা-ফেরা করতে পারে না। তারা কিছু চায় না বলে, অবিবেচক লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে; তারা লোকেদের কাছে নাছোড় বান্দা হয়ে যাঞা করে না। (সূরা বাক্বারাহ ২৭৩ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, যারা ব্যয় করলে অপচয় করে না, কার্পণ্য ও করে না; বরং তারা এ দুয়ের মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করে। (সূরা ফুরকান ৬৭ আয়াত) তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,(আরবী)অর্থাৎ, আমি সৃষ্টি করেছি জ্বিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে। (সূরা ফারিয়াত ৫৬-৫৭ আয়াত)এব্যাপারে পূর্বের দুই পরিচ্ছেদে অধিকাংশ হাদীস পার হয়েছে। আরো কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
হাদিস সম্ভার : ৩০৪
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৩০৪
وَعَن عَمرِو بنِ تَغْلِبَ أنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أُتِيَ بِمَالٍ أَوْ سَبْيٍ فَقَسَّمَهُ فَأعْطَى رِجَالاً وَتَرَكَ رِجَالاً فَبَلغَهُ أنَّ الَّذِينَ تَرَكَ عَتَبُوا فَحَمِدَ اللهَ ثُمَّ أثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أمَّا بعْدُ فَواللهِ إنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ وَأدَعُ الرَّجُلَ وَالَّذِي أدَعُ أحَبُّ إلَيَّ مِنَ الَّذِي أُعْطِي وَلَكِنِّي إنَّمَا أُعْطِي أقْوَاماً لِمَا أرَى في قُلُوبِهِمْ مِنَ الجَزَعِ وَالهَلَعِ وَأكِلُ أقْوَاماً إِلَى مَا جَعَلَ اللهُ في قُلُوبِهم مِنَ الغِنَى وَالخَيْرِ مِنْهُمْ عَمْرُو بنُ تَغْلِبَ قَالَ عَمْرُو بنُ تَغْلِبَ : فَوَاللهِ مَا أُحِبُّ أنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم حُمْرَ النَّعَم رواه البخاري
আম্র ইবনে তাগলিব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মাল অথবা যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসা হল। অতঃপর তিনি তা বন্টন করলেন। তিনি কিছু লোককে দিলেন এবং কিছু লোককে ছাড়লেন। তারপর তিনি খবর পেলেন যে, যাদেরকে তিনি দেননি, তারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সুতরাং তিনি (ভাষণের প্রারম্ভে) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করলেন, অতঃপর বললেন, “আম্মা বা’দ! আল্লাহর কসম! আমি কাউকে দিই এবং কাউকে ছাড়ি। যাকে ছাড়ি সে আমার নিকট ঐ ব্যক্তির চেয়ে উত্তম, যাকে দিই। কিন্তু আমি কিছু লোককে কেবলমাত্র এই জন্য দিই যে, আমি তাদের অন্তরে অস্থিরতা ও উদ্বেগ লক্ষ্য করি এবং অন্য কিছু লোককে আমি ঐ ধনবত্তা ও কল্যাণের দিকে সঁপে দিই, যা আল্লাহ তাদের অন্তরে নিহিত রেখেছেন। তাদের মধ্যে আম্র ইবনে তাগলিব একজন।”আম্র ইবনে তাগলিব বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ কথার বিনিময়ে লাল উট নেওয়াও পছন্দ করি না।’ (বুখারী ৯২৩নং)