পরিচ্ছেদঃ
ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে
আল্লাহ তাআলা বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, নিজের অভাবগ্রস্ত হলেও তারা (অপরকে) নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়। (সূরা হাশর ৯ আয়াত)তিনি আরো বলেন,(আরবী)অর্থাৎ, আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে অন্নদান করে। (সূরা দাহার ৮ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ২৪৬
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ২৪৬
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ : إنِّي مَجْهُودٌ فَأرسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَقَالَت : وَالَّذي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا عَندِي إِلاَّ مَاءٌ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى فَقَالَتْ مِثلَ ذَلِكَ حَتَّى قُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثلَ ذَلِكَ : لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا عَندِي إِلاَّ مَاءٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ يُضِيفُ هَذَا اللَّيْلَةَ ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأنْصَارِ : أنَا يَا رَسُولَ اللهِ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ فَقَالَ لامْرَأَتِهِ : أكرِمِي ضَيْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم - وفي روايةٍ قَالَ لامْرَأَتِهِ : هَلْ عَندَكِ شَيْءٌ ؟ فَقَالَتْ : لاَ إِلاَّ قُوتَ صِبيَانِي قَالَ: فَعَلِّليهم بِشَيْءٍ وَإذَا أرَادُوا العَشَاءَ فَنَوِّمِيهمْ وَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا فَأطْفِئي السِّرَاجَ وَأَرِيهِ أنَّا نَأكُلُ فَقَعَدُوا وَأكَلَ الضَّيْفُ وَبَاتَا طَاوِيَيْنِ فَلَمَّا أصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ لَقَدْ عَجِبَ الله مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, ‘আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে আছি’। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট সংবাদ পাঠালেন। তিনি বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সঙ্গে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’ অতঃপর অন্য স্ত্রীর নিকট পাঠালেন। তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত সকল (স্ত্রী) ই ঐ একই কথা বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সাথে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কোন কিছুই নেই।’ তারপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আজকের রাতে কে একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করবে?” এক আনসারী বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করব।’ সুতরাং তিনি তাকে সাথে ক’রে নিজ গৃহে নিয়ে গেলেন এবং তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মেহমানের খাতির কর।’অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি (আনসারী) তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘তোমার নিকট কোন কিছু আছে কি?’ তিনি বললেন না, ‘কেবলমাত্র বাচ্চাদের খাবার আছে।’ তিনি বললেন, ‘কোন জিনিস দ্বারা তাদেরকে ভুলিয়ে রাখবে এবং তারা যখন রাত্রে খাবার চাইবে, তখন তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। অতঃপর যখন আমাদের মেহমান (ঘরে) প্রবেশ করবে, তখন বাতি নিভিয়ে দেবে এবং তাকে দেখাবে যে, আমরাও খাচ্ছি।’ সুতরাং তাঁরা সকলেই খাওয়ার জন্য বসে গেলেন; মেহমান খাবার খেল এবং তাঁরা দু’জনে উপবাসে রাত কাটিয়ে দিলেন। অতঃপর যখন তিনি সকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলেন, তখন তিনি বললেন, “তোমাদের দু’জনের আজকের রাতে নিজ মেহমানের সাথে তোমাদের ব্যবহারে আল্লাহ বিস্মিত হয়েছেন!” (বুখারী ৩৭৯৮, মুসলিম ৫৪৮০নং)