পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ৩৫
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৩৫
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
যে আযান দিবে সেই যেন ইকামাত দেয়।এ শব্দে হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই। বর্ণিত হয়েছে এ ভাষায় (আরবী) “যে আযান দিবে সে ইকামাত দিবে” এ ভাষাতেও হাদীসটি দুর্বল।হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, আবূ নু’য়াইম “আখবাবু আসবাহন” গ্রন্থে (১/২৬৫, ২৬৬) ও ইবনু আসাকির (৯/৪৬৬, ৪৬৭) আব্দুর রহমান ইবনু যিয়াদ আল-ইফরীকী সূত্রে ...বর্ণনা করেছেন।এ সনদটি এ আল-ইফরীকীর কারণে দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃতিনি মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বল ছিলেন। ইমাম তিরমিযীও তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেনঃ (আরবী) ‘এ হাদীসটিকে ইফরীকী সূত্রেই চিনি, তিনি মুহাদ্দিসগণের নিকট দুর্বল।‘হাদীসটিকে বাগাবীও “শারহুস সুন্নাহ” গ্রন্থে (২/৩০২) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম নাবাবীও “আল-মাজমূ’” গ্রন্থে (৩/১২১) তেমনটিই বলেছেন। বাইহাকী “সুনানুল কুবরা” গ্রন্থে (১/৪০০) দুর্বল বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।হাদীসটি অন্য সূত্রেও ইবনু উমার (রঃ) হতে আব্দু ইবনে হামীদ “আল-মুনতাখাব মিন মুসনাদিহি” গ্রন্থে (২/৮৮), আবূ উমাইয়্যাহ্ “আত-তারসূসী মুসনাদু ইবনে উমার” গ্রন্থে (১/২০২), ইবনু হিব্বান “আয-যু’য়াফা” গ্রন্থে (১/৩২৪), বাইহাকী, তাবারানী (৩/২৭/২) ও উকায়লী “আয-যু’য়াফা” গ্রন্থে (পৃ: ১৫০) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ সূত্রেও হাদীসটি দুর্বল।হাদীসটিকে বাইহাকীও দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেনঃ সা’ঈদ ইবনু রাশেদ একক ভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি দুর্বল।হাফিয ইবনু হাজারও “আত-তালখীস” (৩/১০) গ্রন্থে অনুরূপ কথা বলেছেন। তিনি বলেনঃ আবূ হাতিম আর রাযী ও ইবনু হিব্বান “আয-যু’য়াফা” গ্রন্থে এ হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।ইবনু আবী হাতিম “ইলালুল হাদীস” গ্রন্থে (নং ৩২৬) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ হাদীসটি মুনকার, সা’ঈদ হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। আরেকবার বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।ইবনু আবী হাতিম হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে (১/২৯৫) বর্ণনা করেছেন। যার সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনুল ফযল ইবনে আতিয়া রয়েছেন। তিনি মিথ্যার দোষে দোষী।ইবনু আদী বলেনঃ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ তার অধিকাংশ হাদীসের মুতাবা’য়াত করেননি।