সহিহ বুখারী
সহিহ মুসলিম
সুনানে আন-নাসায়ী
সুনানে আবু দাউদ
জামে' আত-তিরমিজি
সুনানে ইবনে মাজাহ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক
রিয়াদুস সলেহিন
বুলুগুল মারাম
মুসনাদে আহমাদ
আল লু'লু ওয়াল মারজান
হাদিস সম্ভার
সিলসিলা সহিহা
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ
মিশকাতুল মাসাবিহ
৪০ হাদিস
আদাবুল মুফরাদ
জুজ'উল রাফায়েল ইয়াদাইন
জুজ'উল কিরাত
সহিহ হাদিসে কুদসি
১০০ সুসাব্যস্ত হাদিস
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
শামায়েলে তিরমিযি
সুনান আদ-দারিমী
তাহাবী শরিফ
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব
সহিহ ফাযায়েলে আমল
ঊপদেশ
রমজানের দুর্বল হাদিস
সুনান দারাকুতনী
২১৫৮
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৫৮
وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَتَىْ مَرَّةٍ (﴿قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ﴾ مُحِىَ عَنْهُ ذُنُوبُ خَمْسِينَ سَنَةً إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دَيْنٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَالدَّارِمِىُّ وَفِىْ رِوَايَتِه «خَمْسِينَ مَرَّةٍ» وَلَمْ يَذْكُرْ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دِيْنٌ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন দু’শ বার সূরা ‘কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’ পড়বে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে। যদি তার ওপর কোন ঋণের বোঝা না থাকে। (তিরমিযী ও দারিমী। কিন্তু দারিমীর বর্ণনায় [দু’শ বারের জায়গায়] পঞ্চাশ বারের কথা উল্লেখ হয়েছে। তিনি ঋণের কথা উল্লেখ করেননি।)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ২৮৯৮, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৯৭৫, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫৭৮৩, য‘ঈফাহ্ ৩০০, দারিমী,৩৪৪১ য‘ঈফ আত্ তারগীব ৯৭৫। কারণ এর সানাদে রাবী হাতিম ইবনু মায়মূন মুনকারুল হাদীস। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, সে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূরা ইখলাস প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দু’শত বার পাঠ করবে তার ‘আমালনামা থেকে পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মুছে দেয়া হবে, তবে তার ওপর যদি কোন ঋণের বোঝা বা গুনাহ থাকে তবে সেটা স্বতন্ত্র কথা, অর্থাৎ- ঋণের গুনাহ মাফ হবে না।
অন্য এক বর্ণনায় পঞ্চাশবার পড়ার কথা আছে, তবে সেখানে ঋণের কথা নেই।
শায়খ ‘আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন, ঋণের গুনাহকে ইস্তিসনা করা (অর্থাৎ- ঋণের গুনাহ ব্যতীত) কথাটির দু’টি অর্থ হতে পার।
১. ঋণের গুনাহ মুছে দেয়া হয় না এবং তাকে ক্ষমা করাও হয় না। এখানে ঋণকে গুনাহের জাতিভুক্ত করা হয়েছে ভীতিপ্রদর্শন করার জন্য এবং গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
২. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির গুনাহই ক্ষমা করা হয় না, সুতরাং ঐ সূরা পাঠ তার ওপর কোন প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ- তার গুনাহ মুছে ফেলে না।
অন্য এক বর্ণনায় পঞ্চাশবার পড়ার কথা আছে, তবে সেখানে ঋণের কথা নেই।
শায়খ ‘আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন, ঋণের গুনাহকে ইস্তিসনা করা (অর্থাৎ- ঋণের গুনাহ ব্যতীত) কথাটির দু’টি অর্থ হতে পার।
১. ঋণের গুনাহ মুছে দেয়া হয় না এবং তাকে ক্ষমা করাও হয় না। এখানে ঋণকে গুনাহের জাতিভুক্ত করা হয়েছে ভীতিপ্রদর্শন করার জন্য এবং গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।
২. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির গুনাহই ক্ষমা করা হয় না, সুতরাং ঐ সূরা পাঠ তার ওপর কোন প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ- তার গুনাহ মুছে ফেলে না।