২১৫৪
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৫৪
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِىِّ ﷺ خِبَاءَه عَلٰى قَبْرٍ وَهُوَ لَا يَحْسَبُ أَنَّه قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَان يَقْرَأُ سُوْرَةَ ﴿تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ﴾ حَتّٰى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِىَّ ﷺ فَأَخْبَرَه فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ: هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক সাহাবী না জেনে কোন একটি কবরের উপর তাঁবু খাটালেন। তিনি হঠাৎ দেখেন, এ কবরে এক ব্যক্তি সূরা ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ পড়ছে এমনকি তা শেষ করে ফেলেছে। এরপর ওই সাহাবী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে এ খবর জানালেন। তিনি বললেন, এটা হচ্ছে (‘আযাব হতে) বাধাদানকারী এবং মুক্তিদানকারী। যা পাঠককে আল্লাহ তা‘আলার ‘আযাব থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। (তিরমিযী; তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব)[১]
এ লোকটি কি ঐ কবরবাসী, না মালাক (ফেরেশতা)? এ প্রশ্নের তিনটি মত পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, ঐ কবরবাসীই পাঠ করেছিলেন, কেউ বলেছেন, মালাক মানুষরূপ ধরে কবরে কুরআন তিলাওয়াত করেছিলেন। কেউ আবার বলেছেন, সূরা মুলক-কে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের রূপ দিয়ে তিলাওয়াত করাতেন।
এ পড়া কোন সাওয়াবের উদ্দেশে নয়, বরং ঐ লোকটি দুনিয়ায় এ সূরাটি অধিক তিলাওয়াত করতেন এবং ভালোবাসতেন। সুতরাং ঐ ভালোবাসার স্মৃতি রক্ষার্থে এবং ঐ সূরার স্বাদ অনুভবকল্পে আল্লাহ তা‘আলা তার কব্রে ঐ সূরা শোনানোর ব্যবস্থা করেছেন।
এ সূরার নাম দেয়া হয়েছে মুনযিয়্যাহ্, মানিআহ্ মুক্তি দানকারী ও বাধাদানকারী। এর অর্থ হলো এ সূরা তার তিলাওয়াতকারীকে কবরের ‘আযাব থেকে বাধাদানকারী হবে এবং জাহান্নাম ও আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তিদানকারী হবে।