২১৪৭
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৪৭
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ لِكُلِّ شَىْءٍ قَلْبًا وَقَلْبُ الْقُرْاٰنِ ﴿يٰسٓ﴾ وَمَنْ قَرَأَ ﴿يٰسٓ﴾ كَتَبَ اللّٰهُ لَه بِقِرَاءَتِهَا قِرَاءَةَ الْقُرْاٰنِ عَشْرَ مَرَّاتٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَالدَّارِمِىُّ وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ هٰذَا حَدِيثٌ غَرِيْبٌ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক জিনিসের ‘কলব’ (হৃদয়) আছে। কুরআনের ‘কলব’ হলো, ‘সূরা ইয়াসীন’। যে ব্যক্তি এ সূরা একবার পড়বে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একবার পড়ার কারণে দশবার কুরআন পড়ার সাওয়াব লিখবেন। (তিরমিযী, দারিমী। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটিকে গরীব বলেছেন।)[১]
ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন, হাশর-নাশরের স্বীকৃতির উপর ঈমানের বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়, এ সূরায় এটা পূর্ণমাত্রায় রয়েছে। এ কারণেই এ সূরাকে কুরআনের কলব বলা হয়েছে।
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী এটিকে একটি উত্তম ব্যাখ্যা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি স্বীয় লুম্‘আত গ্রন্থে বলেন, কোন বস্ত্তর কলব হলো তার মাখন সদৃশ, সুতরাং সূরাটি আকারে ছোট হলেও তা আল কুরআনের পূর্ণ মাকাসিদ বা উদ্দেশাবলীর ক্ষেত্রে মাখন সদৃশ। আল্লাহর হাতেই এ ক্ষমতা এবং তারই ইচ্ছা, তিনি যে বস্ত্ততে ইচ্ছা বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষত্ব দান করে থাকেন। যেমন লায়লাতুল কদরকে সকল সময়ের উপর বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এমনভাবেই আল্লাহ তা‘আলা সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াতের অতিরিক্ত বা বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন।