২১৪৩
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৪৩
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «تَعَلَّمُوا الْقُرْاٰنَ فَاقْرَءُوهُ فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْاٰنِ لِمَنْ تَعَلَّمَ وَقَامَ بِه كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوِّ مِسْكًا. تَفُوْحُ رِيحُه كُلَّ مَكَانٍ وَمَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَه فَرَقَدَ وَهُوَ فِىْ جَوْفِه كَمَثَلِ جِرَابٍ أُوكِئَ عَلٰى مِسْكٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَالنَّسَائِىِّ وَابْنُ مَاجَهْ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন শিক্ষা করো ও পড়তে থাকো। যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে এবং কুরআন নিয়ে রাতে সলাতে দাঁড়ায় তার দৃষ্টান্ত মিশক ভর্তি থলির মতো যা চারদিকে সুগন্ধি ছড়ায়। যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে তা পেটে নিয়ে রাতে ঘুমায়, তার দৃষ্টান্ত ওই মিশকপূর্ণ থলির মতো যার মুখ ঢাকনি দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। (তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ)[১]
হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষণাঃ ‘‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর’’, এ নির্দেশ সার্বজনীন। সুতরাং সকল উম্মাত এর অন্তর্ভুক্ত; তারা যেখানেই থাকুক পর্যায়ক্রমে কুরআন শিক্ষা করবে। যাতে কেউ কুরআন বিকৃত করতে না পারে; কেউ যদি বিকৃত করতে চেষ্টা করে তাতে বাধা দিবে।
কুরআন শিক্ষার সাথে সাথে সর্বদা তা তিলাওয়াত বা পাঠের নির্দেশ এসেছে।
কুরআন শিক্ষাকারী, তার তিলাওয়াতকারী এবং তা নিয়ে তাহাজ্জুদে দন্ডায়মানকারী, অর্থাৎ- তাহাজ্জুদে দাঁড়িয়ে কুরআন তিলাওয়াতকারীর দৃষ্টান্ত হলো মিসক ভর্তি থলির ন্যায়। এ থলির মুখ খোলা, সুতরাং তার সুগন্ধ মালিক নিজেও উপকৃত ও প্রীত হয় অপরেও উপকৃত হয়। পক্ষান্তরে যে কুরআন শিক্ষা করেছে বটে কিন্তু সে তা কোন সময় তিলাওয়াত করে না এবং তা দিয়ে তাহাজ্জুদও পড়ে না তার দৃষ্টান্ত হলো মুখ বন্ধ মিসকের থলির ন্যায়। যার (বদ্ধ) সুগন্ধি কেউই পায় না এবং তা দ্বারা উপকৃতও হয় না।