সহিহ বুখারী
সহিহ মুসলিম
সুনানে আন-নাসায়ী
সুনানে আবু দাউদ
জামে' আত-তিরমিজি
সুনানে ইবনে মাজাহ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক
রিয়াদুস সলেহিন
বুলুগুল মারাম
মুসনাদে আহমাদ
আল লু'লু ওয়াল মারজান
হাদিস সম্ভার
সিলসিলা সহিহা
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ
মিশকাতুল মাসাবিহ
৪০ হাদিস
আদাবুল মুফরাদ
জুজ'উল রাফায়েল ইয়াদাইন
জুজ'উল কিরাত
সহিহ হাদিসে কুদসি
১০০ সুসাব্যস্ত হাদিস
মিশকাতে জয়িফ হাদিস
শামায়েলে তিরমিযি
সুনান আদ-দারিমী
তাহাবী শরিফ
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব
সহিহ ফাযায়েলে আমল
ঊপদেশ
রমজানের দুর্বল হাদিস
সুনান দারাকুতনী
২১৪০
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৪০
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: «لَوْ جُعِلَ الْقُرْاٰنُ فِى اهَابٍ ثُمَّ أُلْقِىَ فِى النَّار مَا احْتَرَقَ». رَوَاهُ الدَّارِمِىُّ
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কুরআন কারীমকে যদি চামড়ায় মুড়িয়ে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তাহলে তা পুড়বে না। (দারিমী)[১]
[১] সহীহ : দারিমী ৩৩১০, সহীহাহ্ ৩৫৬২, আহমাদ ১৭৪০৯।
চামড়া কাঁচা পাকা উভয়ই হতে পারে। তবে ‘আল্লামা তুরবিশ্তী দাবাগাতবিহীন চামড়ার কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআনুল কারীমকে কোন চামড়ায় মুড়িয়ে অথবা পেচিয়ে আগুনে ফেললে ঐ চামড়া মোটেও পুড়বে না। এটা কুরআনুল কারীমের মহা বারাকাত এবং মু‘জিযা।
কেউ কেউ বলেছেন, এটা রসূলের যুগের বিশেষ মু‘জিযা ঐ সময় কেউ মাসহাফকে চামড়ায় তুলে আগুনে দিলে তা জ্বলতো না।
কেউ বলেছেন এর অর্থ হলো যার অন্তরে কুরআনুল কারীম থাকবে আগুন তাকে জ্বালাবে না। আহমাদ ইবনু হাম্বল, আবূ ‘উবায়দ প্রমুখ মনীষী থেকে অনুরূপ হেকায়েত বর্ণিত আছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটা উপমা ধরে নেয়া, আসলে আল কুরআনের মহান মর্যাদা বর্ণনা করার একটি পদ্ধতি মাত্র যাতে মুবালাগা বা বর্ণনাধিক্যতা থাকে।
‘আল্লামা তুরবিশ্তী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলো যদি একটি চামড়ায় কুরআনুল কারীম রাখার কারণে কুরআনুল কারীমের সংস্পর্শের বারাকাত চামড়ায় আগুন স্পর্শ করতে না পারে তাহলে কুরআনুল কারীমের হাফেয এবং সর্বদা তার তিলাওয়াতকারী মু’মিনের অবস্থা কি হতে পারে। এটাই বুঝানো উদ্দেশ্য। এখানে আগুন দ্বারা ঐ আগুন উদ্দেশ্য যা সূরা আল হুমাযাহ্’য় বর্ণিত হয়েছে।
কেউ কেউ বলেছেন, এটা রসূলের যুগের বিশেষ মু‘জিযা ঐ সময় কেউ মাসহাফকে চামড়ায় তুলে আগুনে দিলে তা জ্বলতো না।
কেউ বলেছেন এর অর্থ হলো যার অন্তরে কুরআনুল কারীম থাকবে আগুন তাকে জ্বালাবে না। আহমাদ ইবনু হাম্বল, আবূ ‘উবায়দ প্রমুখ মনীষী থেকে অনুরূপ হেকায়েত বর্ণিত আছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটা উপমা ধরে নেয়া, আসলে আল কুরআনের মহান মর্যাদা বর্ণনা করার একটি পদ্ধতি মাত্র যাতে মুবালাগা বা বর্ণনাধিক্যতা থাকে।
‘আল্লামা তুরবিশ্তী (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলো যদি একটি চামড়ায় কুরআনুল কারীম রাখার কারণে কুরআনুল কারীমের সংস্পর্শের বারাকাত চামড়ায় আগুন স্পর্শ করতে না পারে তাহলে কুরআনুল কারীমের হাফেয এবং সর্বদা তার তিলাওয়াতকারী মু’মিনের অবস্থা কি হতে পারে। এটাই বুঝানো উদ্দেশ্য। এখানে আগুন দ্বারা ঐ আগুন উদ্দেশ্য যা সূরা আল হুমাযাহ্’য় বর্ণিত হয়েছে।