২১৩৯
মিশকাতুল মাসাবিহ
অধ্যায় : পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
হাদীস নং : ২১৩৯
وَعَن معَاذ الْجُهَنِىِّ: أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ الْقُرْاٰنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْءُه أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِىْ بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِىْ عَمِلَ بِهٰذَا؟». رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُوْ دَاوُدَ
মু‘আয আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং এর মধ্যে তাঁর হুকুম-আহকামের উপর ‘আমাল করে, তার মাতাপিতাকে কিয়ামাতের দিন একটি মুকুট পরানো হবে। এ মুকুটের কিরণ দুনিয়ার সূর্যের কিরণ হতেও উজ্জ্বল হবে, যদি এ সূর্য তোমাদের মধ্যে থাকত (তবে উপলব্ধি করতে পারতে)। যে ব্যক্তি এ কুরআনের উপর ‘আমাল করে তার ব্যাপারে এখন তোমাদের কী ধারণা? (আহমদ, আবূ দাঊদ)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৪৫৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৮৬১, মুসতাদারাক লিল হাকিম ২০৮৫, শু‘আবূল ঈমান ১৭৯৭, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫৭৬২। কারণ এর সানাদে যব্বান ইবনু ফায়িদ একজন দুর্বল রাবী।
কুরআন তিলাওয়াতকারী এবং তার ওপর ‘আমালকারীর পিতা-মাতাকে সূর্যের চেয়ে উজ্জ্বল তাজ পরানো হবে।
এই উজ্জ্বলতা দৃষ্টিবিষাদী এবং তাপ বিচ্ছুরিত হবে না। বরং এ তাজ হবে অতি মূল্যবান অলংকারখচিত এক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য শোভিত আলোকপিন্ডর ন্যায়।
তাহলে ঐ কুরআনের বিধান মোতাবেক ‘আমালকারী সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? এখানে এ প্রশ্নবোধক ما ‘মা’ শব্দটি تحير الظان বা ধারণাকে হতবুদ্ধি করে ফেলানো অর্থে ব্যবহার হয়েছে। এর অর্থ তুমি ধারণাও করতে পারবে না যে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে। কোন চোখ তা দেখেনি, কোন কান তা শুনেনি এবং কোন অন্তর তা অনুধাবন করেনি। সুতরাং তার পুরস্কার দেখে তুমি হতবুদ্ধি হয়ে যাবে।
এই উজ্জ্বলতা দৃষ্টিবিষাদী এবং তাপ বিচ্ছুরিত হবে না। বরং এ তাজ হবে অতি মূল্যবান অলংকারখচিত এক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য শোভিত আলোকপিন্ডর ন্যায়।
তাহলে ঐ কুরআনের বিধান মোতাবেক ‘আমালকারী সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? এখানে এ প্রশ্নবোধক ما ‘মা’ শব্দটি تحير الظان বা ধারণাকে হতবুদ্ধি করে ফেলানো অর্থে ব্যবহার হয়েছে। এর অর্থ তুমি ধারণাও করতে পারবে না যে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে। কোন চোখ তা দেখেনি, কোন কান তা শুনেনি এবং কোন অন্তর তা অনুধাবন করেনি। সুতরাং তার পুরস্কার দেখে তুমি হতবুদ্ধি হয়ে যাবে।